background img

The New Stuff

অবুঝ ভালোবাসা

আমার নিজের লেখা একটা সত্যিকারের গল্প। পড়ুন ভালো লাগবে।অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনি।
,
,
আজ রাফির মেজ কাকা বিদেশ (বাহরাইন) চলে যাবে।রাফি খুব বেখেয়ালি ছেলে।পড়াশুনায় মোটামুটি।সবে এসএসসি পরিক্ষার ফলাফল দিয়েছে ভালো কলেজে ভর্তি হবে। সারাদিন বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোই তার একমাত্র কাজ।রাফি মেজ কাকাকে বেশি ভালোবাসে না কারন তার মেজ কাকার একটা বদ অভ্যাস আছে জুয়া খেলা এজন্যই সে তার কাকার সাথে কথা বলত না কিন্তু ওর ছোট কাকাকে খুব ভালোবাসে, তার ছোট কাকা ৬ বছর ধরে বিদেশ(বাহরাইন) থাকে।রাফির আব্বু সবার থেকে বড়।সে অনেক বছর বিদেশ ছিল এখন দেশে থাকে এবং একটা দোকান দিয়েছে।
,
আজ রোজা ৪টা চলছে।রাফি জানে আজ তার মেজ কাকা বিদেশ চলে যাবে।রাফি একটু দেরি করেই ঘুম থেকে ওঠে।আজ সকাল সকাল কে যেন ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাকছে। একটু ঘুরে দেখে ওর মেজ কাকা।
---মেজ কাকা: ওই ঘুম থেকে ওঠ।
---রাফি: কেন কি হয়ছে?
---মেজ কাকা: তুই আর আর রানা (মেজ কাকার সালা বাবু) আমাকে দিতে এয়ার পোর্ট যাবি।
---রাফি: আচ্ছা।
,
মেজ কাকা ঘর থেকে বের হয়ে গেল।রাফি এখন যাওয়ার জন্য রাজি না,পরে ওর মা বোঝানোর পর যাওয়া জন্য রাজি হল।
রাফির মেজ কাকা বাড়ির সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ীতে উঠলো।বাস চলতে শুরু করল ঢাকার উদ্দেশ্য।রাফি বাসের জানালার কাছে বসে চার দিকের সুন্দর দৃশ্য দেখতে লাগল।দেখতে দেখতে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড এ বাস এসে থামলো।এখন রাফি, ওর মেজ কাকা ও রানা বাস থেকে নেমে পরলো। ওরা একটা সি এন জি ঠিক করলো। সি এন জি এয়ার পোর্ট এর দিকে যেতে শুরু করলো।রাফি ঢাকা শহরটা দেখতে লাগলো।ঢাকা শহরে রাফি অনেক আগে এসেছিল কিন্তু এয়ার পোর্ট এই প্রথম যাওয়া হচ্ছে।ঢাকা শহরটা দেখতে দেখতে এয়ার পোর্ট(শাহ্ জালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দর) চলে আসলো সিএনজি।রাফি সিএনজি থেকে নামলো।এখন ওরা তিনজন নেমে ডান পাশের রাস্তা দিয়ে ওপরে উঠতে লাগল যে গেট দিয়ে মানুষ বিমানে ওঠে বিদেশ যায়।এখন ওরা তিন জন ওপরে উঠে গেটের একপাশে বসলো।এরপর কিছু খাবার ও পানি খেলো।রাফির মেজ কাকার ফ্লাইট কিছুক্ষন পরে।অনেকক্ষন বসে থাকার পর হঠাৎ ডান পাশে তাকা তেই রাফি অবাক হয়ে গেল।অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়ে, মায়াবী তার চেহারা,মায়াবী তার চোখ দুটো,মায়াবী তার মুখটা। মেয়েটা বয়স অল্প ক্লাস নাইন অথবা টেন এ পরে।যে কেউ তাকে দেখলে হারিয়ে যাবে দূর অজানায়।রাফি ও সেই দূর অজানায় হারিয়ে গেছে। রাফি এখনও মেয়েটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে হঠাৎ মেয়েটা রাফির দিকে তাকালো এবং একটু অবাক হয়েই রাফিকে দেখলো। আবার মেয়েটা মুখ ঘুরিয়ে ফেললো অন্য দিকে। রাফি এখন বাস্তবে ফিরে আসলো।রাফি মেয়েটাকে আবারও দেখতে লাগলো, দেখে বোঝা গেল মেয়েটা তার মা বাবার সাথে এসেছে তার বড় ভাই বিদেশ চলে যাবে। কিছুক্ষন পর মেয়েটা আবার রাফির দিকে তাকালো, রাফির বুকে এখন ঝড় বয়ে গেল।রাফি এখন অনেকক্ষন ধরে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে আর মেয়েটা কিছুক্ষন পর পরই রাফির দিকে তাকাচ্ছে।মেয়েটা
এখন গেটের সামনে থেকে একটু দূরে মাইক্রো-প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড এর ছাদের ওখানে হেটে হেটে যেতে লাগল।মেয়েটা যেতে যেতে রাফির দিকে তাকাচ্ছে।মেয়ে ছাদের চারপাশ ঘুরে দেখছে আর রাফির দিকে তাকাচ্ছে, ওদিকে রাফি এখনও মেয়েটার দিকেই তাকিয়ে আছে।মেয়েটার জন্য রাফির মনটা কেমন যেন করছে, মনে হচ্ছে এখনই মেয়েটাকে বলি ''আমি তোমাকে দেখে পাগল হয়ে গেছি, তোমাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি''।আবার মনে মনে ভয় হচ্ছে যদি মেয়েটা তার বাবা মাকে গিয়ে বলে দেয় তাহলে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।চেনা পরিচিত কেউ নেই, শুধু একটা খালাতো ভাই আছে তাও এয়ার পোর্ট থেকে দূরে থাকে।হঠাৎ পাশ থেকে মেজ কাকা ডাকলো।
,
---মেজ কাকা: একটু পরই আমার ফ্লাইট আমি এখন ভিতরে চলে যাব।বাড়ীর সবার খেয়াল রাখিস আর বেশি ঘুরাফেরা করিস না। ভালো থাকিস।
---রাফি: আচ্ছা। আপনি ও ভালো থাকেন এবং পৌছানোর পর কল দিয়েন।
---মেজ কাকা: ওকে।
,
মেজ কাকা গেট দিয়ে ভেতরে চলে গেল।রাফি বিদায় আবার গেটের পাশে আসলো।
---রাফি: একি মেয়েটা কই গেল?
---রানা: কে? কাকে খুজছিস?
---রাফি: কাউকে না মামা।মামা আপনি একটু বসেন আমি একটু এদিক থেকে আসছি।
---রানা: ওকে, তারাতারি আসিস আমি বসলাম এখানে।
,
রাফি পাগলের মতো মেয়েটাকে খুজতে লাগলো।কোথাও নেই মেয়েটা।মাইক্রো স্ট্যান্ডের ছাদ থেকে এবার ২ তলায় আসলো,চারদিক খুজলো তবুও মেয়েটাকে পেল না। রাফির মনে হচ্ছে খুব আপন জন কেউ হারিয়ে গেছে।এবার সোজা প্রথম তলায় এসে খুজতে লাগলো। কোথাও নেই হঠাৎ মনে হল মনে হল গাড়ি বের হওয়ার গেটের দোকাটার সামনে মেয়েটা মত কেউ দাড়িয়ে আছে কারও অপেক্ষায়।রাফি বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে গেল, রাফি আর চোখের পলক ফেলতে পারছে না। এই সেই অচেনা মায়াবী মেয়েটা।রাফি এবার সরাসরি মেয়েটার কাছে গিয়ে মেয়েটার চোখের দিকে তাকালো,মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে ইচ্ছা করছে রাফির।মেয়েটাও মনে হয় রাফিকে খুজছিলো রাফিকে দেখার সাথে হেসে ফেললো।এখন দুজনের কারো মুখেই কথা নেই শুধু দুজন দুজনকে দেখছে।এবার রাফি সাহস করে নিজ থেকেই কথা বলল,
,
---রাফি: তোমার মোবাইল নাম্বারটা দাও?
---মেয়ে: আমি তো মোবাইল ব্যাবহার করি না।
---রাফি: তাহলে তোমার আব্বুর মোবাইল নাম্বার দাও?
---মেয়ে: ওকে। বলছি ওঠাও 01835
হঠাৎ পাশ থেকে কে যেন ডাকলো,
এই ''রোজা'' ওখানে কি করিস এখানে আয়।
---মেয়ে: আসছি বাবা,,,,,
,
বলেই মেয়েটা চলে গেল,,,,,,,
,
রাফি আবুলের মতো দাড়িয়ে আছে, মেয়েটা পুরো নাম্বারটা ও বলতে পারলো না,,,,রাফি এখন কি করবে কিছুই ভাবতে পারছিলো না।মনে মনে ভাবছিলো কেউ যদি এখন আমাকে একটা কলম আর এক টুকরো কাগজ দেই তাহলে আমি তাকে আমার সব টাকা ও আমার মোবাইলটা দিয়ে দিব।কিন্তু কলম আর কাগজ দেওয়ার মত কেউ নেই এখানে। এদিকে মেয়েটা আর মেয়েটার মা বাবা সিএনজি তে উঠে চলে যাচ্ছে,,,
রাফি এখন কি করবে কিছুই ভাবতে পারছে না, শুধু ভাবছে মেয়েটার নাম্বারটা লাগবে অথবা মেয়েটাকে ওর নাম্বারটা দিবে।
,
এদিকে ওদের সিএনজি টা চলতে শুরু করে দিয়েছে।রাফি দ্রুত পাশের একটা সিএনজি তে উঠে বলল সামনের সিএনজি টার সাথে চলেন,,,,,,,,,,,,,,,
,
রাফি সামনের সিএনজি টার দিকে তাকাতেই দেখতে পেল মেয়েটা রাফির দিকে তাকিয়ে আছে, মেয়েটাও যেন রাফির কাছে ছুটে চলে আসতে চাচ্ছে,,,,,, এখন দুজন দুজনকে দেখছে, এখন মেয়েটা রাফিকে কি যেন বলছে কিন্তু গাড়ীর শব্দে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না,,,,
হঠাৎ একটা ব্রিজ আসলো আর ব্রিজের পরই ট্রাফিকজ্যাম, মেয়েটার সিএনজি টা ট্রাফিকজ্যামের আগেই চলে গেল,,,,,,, আর রাফির সিএনজিটা জ্যামে পরে গেল।এখন আর মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে না। রাফির মনের ভেতর যেন পাহাড় ভেঙে পড়ল।
,
অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকার পর ও মেয়েটাকে আর দেখা গেল না,,,,,রাফি এখন ক্লান্ত ও বুক ভরা অভিমান নিয়ে এয়ার পোর্টে ফিরে আসলো।
,
বাড়িতে আসার জন্য রওনা হল, সারা পথ রাফি শুধু মেয়েটার কথা কল্পনা করতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,
রাফি এখনও মেয়েটাকে নিয়ে কল্পনা করতে থাকে আর আল্লাহর কাছে বলে যে জীবনে মেয়েটার সাথে একবারের জন্য হলে ও দেখা হয় যেন,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,
গল্পের রাফি নামটা ছদ্দ নাম।
আসল নাম হল '''আক্তার হোসেন''' smile emoticon

৬টি মন্তব্য: Leave Your Comments

  1. অনেক ভাল লাগল,
    আরো সুন্দর গল্প পড়তে চাইলে,
    Click Here

    উত্তরমুছুন
  2. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  3. ভালোবাসার কিছু অসাধারণ গল্প পড়তে ভিজিট করুন

    https://1-love-story.blogspot.com/?m=1

    উত্তরমুছুন
  4. 5 Best Beginners Guide to Baccarat | WRione
    Learn how to play Baccarat 인카지노 online — Learn how to play Baccarat using our top worrione betting sites. Find out how to play Baccarat today. kadangpintar

    উত্তরমুছুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ